এইচ.এন. আলম, ঈদগাঁও::
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় খুটাখালী ইউনিয়নের সুদীর্ঘ ১০ বছর যাবত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন উন্নতি হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৬ইংরেজীতে প্রতিষ্ঠিত উক্ত বিদ্যালয়টি উন্নয়নের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী হাই ও লো-বেঞ্চ বিহীন লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে উক্ত শিক্ষার্থীরা। শিশু শ্রেণীতে ১১ জন, ১ম শ্রেণীতে ২০ জন, ২য় শ্রেণীতে ২৬ জন, ৩য় শ্রেণীতে ২৬ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১৯ জন, ৫ম শ্রেণীতে ৬ জন মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে ৫ জন। বিদ্যালয়টিতে উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি। প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ মোহাম্মদ শাহজালাল প্রতিবেদককে জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকার কর্তৃক এবং ধনবান ব্যক্তিগণ বিদ্যালয় উন্নয়নে তেমন কোন সাহায্য-সহযোগিতা না করায় বিদ্যালয়টির এ অবস্থা। তিনি আরো জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উক্ত বিদ্যালয় সম্পর্কিত ফাইলটি পাঠানো হয়েছে তার কোন হদিস নেই। ২০১০ সালে কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বরাদ্ধকৃত অনুদানে স্কুল ভবনটি দরজা-জানালা বিহীন হয়েছে। বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা কোন প্রকার বেতন-ভাতা না পেলেও পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিয়মিতভাবে পাঠ্য পুস্তক দিলেও বেঞ্চের অভাবে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হলেও পরে অন্যত্র চলে যায়। সচেতন মহলের দাবী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মা-জননী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ১০ বছর যাবত চলে আসলেও কোন প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। স্কুলটি অচিরেই সরকারীকরণ না হলে এতদঞ্চলের দিন মজুরের কচি-কাঁচা ছেলেমেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ...
পাঠকের মতামত